Picture of author.
24+ Works 46 Members 1 Review

Om forfatteren

Værker af Bani Basu

Associated Works

The Virago Book of Such Devoted Sisters (1993) — Bidragyder — 44 eksemplarer

Satte nøgleord på

Almen Viden

Medlemmer

Anmeldelser

ইতিহাসের মোটা মোটা বই নয়, প্রতিদিনের খবরের কাগজ ওলটালেই নিজের মানবজন্ম নিয়ে বেশ লজ্জিত হই এখন। পৃথিবীব্যাপী শুধু এক ধর্ষণের সংবাদই এত নিয়মিত হয়ে পড়েছে যে টিভিতে সংবাদ পাঠক যখন অসীমতম বারের মত ঘোষণা করেন “অমুক অঞ্চলে দুজন নারী ধর্ষিত হয়েছেন”, তা “চ্যাম্পিয়ন’স লিগে বায়ার্ন মিউনিখ দু গোল দিয়েছে”র মতই নিয়মিত ও ‘মামুলী’ শোনায়। হায় আদিম রিপু! যে যৌনতায় মানুষের জন্ম, সেই যৌনতায়ই মানবিকতার মৃত্যু। নারীর প্রতি নরের জৈবিক টান, সেতো খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু সেই আদিম কাল থেকে সভ্যতার সব সমাজেই কিছু মানুষ (নাকি বেশীর ভাগ মানুষ?) জৈবিক ক্ষুধার ভীষণ স্বাভাবিক অনুভূতিটিকে অনুভব করেছে ভয়ানক অস্বাভাবিকভাবে। ক্ষুধার এই প্রচণ্ডতাকে সামাল দিতে মানুষ উদ্ভাবন করেছে অদ্ভুত এক ব্যবসার, পতিতাবৃত্তি। পৃথিবীর বুকে এমন কোন মত আজ পর্যন্ত গঠিত হয়নি যার পক্ষে সাফাই গাইবার অন্তত একজনও নেই। যুক্তিবিদ্যা বড় অদ্ভুত এক বিদ্যা। সব মতের পক্ষেই এই বিদ্যার ব্যবহার আছে। যিনি জ্ঞানী, তিনি জ্ঞান বিতরন করবেন। যিনি পরিশ্রমী, তিনি শ্রম বেচবেন। অতএব, যুক্তি দিয়ে তর্ক করাই যায়, যিনি শরীরী, তিনি কেন শরীর বিলোবেন না? যুক্তির এ পথে হেঁটেই পতিতাবৃত্তির ‘ন্যায্যতা’ প্রতিপাদিত হয়েছে। বর্তমানে এটিও একটি স্থাপিত পেশা। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর অনেক গল্প-উপন্যাস ও নাটকে প্রচ্ছন্নভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ভিক্ষুকেরা মানুষের আসল চেহারা সবচেয়ে ভালো চেনে। খুব সম্ভব পতিতারাও। ‘খদ্দেরদের’ মনের গোপনতম কামনা আর ফ্যান্টাসিগুলোকে যারা প্রতিনিয়ত বাস্তবায়িত করে চলেছে, তাদেরই তো মানুষ চেনার কথা সত্যিকারভাবে। কেমন সমাজ এই পতিতাদের? শরীর বিকিয়ে খাওয়ার এই গ্লানিময় পেশা কী তাদের খুব পছন্দের? কেন তারা চলে যায় না অন্য পেশায়? (কিংবা যেতে পারেনা?)

বাণী বসুর ‘খারাপ ছেলে’ আক্ষরিক অর্থেই খারাপ এক ছেলের গল্প; এপার-ওপার দু’ বাংলারই মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর প্রতিদিনের গল্প, যে পরিবারগুলোতে স্বামী সামনের আলমারিতে রাখা শার্টটি হাতে তুলে দিতে স্ত্রীকে পাশের ঘর থেকে ডেকে এনে ‘আদেশ’ করেন। যে পরিবারগুলোতে স্ত্রীরা প্রকারান্তরে ধর্ষিতই হন স্বামীদের হাতে, প্রেমহীন একপক্ষীয় কামনার ফাঁদে। এই উপন্যাসটি লিখে এক নারীই জানান দিয়েছেন বাংলার লক্ষ নারীর প্রতিদিনের ব্যবহৃত হবার দুঃখগাথা, কী নিজ ঘরে কী পতিতাপল্লীতে। ১৩৪ পৃষ্ঠার ক্ষুদ্রকায় উপন্যাসটির প্রতিটি সংলাপ, প্রতিটি ঘটনাই মনে হয় রীতিমত দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে লেখা। এ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র জিনা। পতিতাপল্লীর মেয়েদের শিক্ষকতা করাবার কাজ-টা যার জীবনকেই পাল্টে দেয়। জিনা'র চোখ দিয়ে দেখে দেখে পাঠকও যেন একসময় হঠাৎ আবিষ্কার করে বসে মানব জীবন কি ভীষণ কদর্যময়! দাতব্য সংস্থানগুলো পতিতাদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চায় কিন্তু একই সাথে তারা সেই শিক্ষার দৌড় সীমাবদ্ধও করে দিতে চায় একটি নির্দিষ্ট গণ্ডী পর্যন্ত। এর বেশী পড়ালে তারা আর এ ব্যবসায় থাকতে চাইবেনা। আবার, পতিতাদের সংখ্যা কমে গেলে দাতব্য সংস্থাও টাকা দেবে কেন? এ এক অদ্ভুত প্যারাডক্স! (দান-খয়রাতও একটি লাভজনক ব্যবসাই বটে। খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান এর মত মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে মানুষকে কত সৃষ্টিশীলই না হতে হয়!) পতিতা সমাজে মাসী যারা আছে তারাও চায় না তাদের এ অবস্থা রাতারাতি পাল্টে যাক। বড় ব্যবসায়ীদের হাতে তাদেরও তো টিকি বাঁধা। কোথায় শেষ এই দুষ্ট চক্রের? নিজ ইচ্ছেয় কেউ এসে এ পেশায় জড়ায়নি। বাবা, প্রেমিক, স্বামী এরাই বিক্রি করে দিয়ে গেছে তাদের কন্যা, প্রেমিকা অথবা স্ত্রীদের, চিরশত্রু উদরের আগুন নেভাতে। পতিতাপল্লীর অন্ধকার গলি থেকে যে মেয়েটি পালিয়ে আসতে চায়, ধরা পড়বার পর শাস্তি স্বরূপ তাকে ধর্ষিত হতে হয় সারা রাত, একাধিক পোষা মাস্তানের হাতে। বাধ্যগত হলে 'সোহাগ', আর বেয়াড়া-বিদ্রোহী হলে ধর্ষণ; পুরস্কারের স্বীকৃতি কী তিরস্কারের লাঠি, উভয়েরই মূল্যের প্রকার কী ক্লান্তিকর রকম এক! ১৩৪টি পৃষ্ঠাই মাত্র, এতেই মানুষের যৌনক্ষুধার বিবরণে বড্ড বেশী বিষণ্ণ ও নিশ্চল হয়ে গেছি। মানবজাতির আরেকজন প্রতিনিধি হিসেবেই লজ্জিত ছিলাম ‘জাতভাইদের’ আচরণে। পরিধিটা আরো ছোট হয়ে শুধু পুরুষ জাতিতে এসে ঠেকল কী না কে জানে।
… (mere)
 
Markeret
Shaker07 | May 18, 2017 |

Hæderspriser

Måske også interessante?

Associated Authors

Statistikker

Værker
24
Also by
2
Medlemmer
46
Popularitet
#335,831
Vurdering
½ 3.5
Anmeldelser
1
ISBN
19
Sprog
1