Bani Basu
Forfatter af মৈত্রেয় জাতক
Om forfatteren
Værker af Bani Basu
বাছাই গল্প ২য় পর্ব 1 eksemplar
বাছাই গল্প 1 eksemplar
জন্মভূমি মাতৃভূমি 1 eksemplar
অষ্টম গর্ভ ২ 1 eksemplar
মেয়েলি আড্ডার হালচাল 1 eksemplar
Associated Works
The Slate of Life: More Contemporary Stories by Women Writers of India (1990) — Bidragyder — 25 eksemplarer
Satte nøgleord på
Almen Viden
- Andre navne
- বাণী বসু
- Fødselsdato
- 1939-03-11
- Køn
- female
- Nationalitet
- India
- Fødested
- Calcutta, Bengal Presidency, British India
- Bopæl
- Kolkata, India
- Erhverv
- writer
professor of English - Priser og hædersbevisninger
- Sahitya Academy Award (2010)
Medlemmer
Anmeldelser
Hæderspriser
Måske også interessante?
Associated Authors
Statistikker
- Værker
- 24
- Also by
- 2
- Medlemmer
- 46
- Popularitet
- #335,831
- Vurdering
- 3.5
- Anmeldelser
- 1
- ISBN
- 19
- Sprog
- 1
বাণী বসুর ‘খারাপ ছেলে’ আক্ষরিক অর্থেই খারাপ এক ছেলের গল্প; এপার-ওপার দু’ বাংলারই মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর প্রতিদিনের গল্প, যে পরিবারগুলোতে স্বামী সামনের আলমারিতে রাখা শার্টটি হাতে তুলে দিতে স্ত্রীকে পাশের ঘর থেকে ডেকে এনে ‘আদেশ’ করেন। যে পরিবারগুলোতে স্ত্রীরা প্রকারান্তরে ধর্ষিতই হন স্বামীদের হাতে, প্রেমহীন একপক্ষীয় কামনার ফাঁদে। এই উপন্যাসটি লিখে এক নারীই জানান দিয়েছেন বাংলার লক্ষ নারীর প্রতিদিনের ব্যবহৃত হবার দুঃখগাথা, কী নিজ ঘরে কী পতিতাপল্লীতে। ১৩৪ পৃষ্ঠার ক্ষুদ্রকায় উপন্যাসটির প্রতিটি সংলাপ, প্রতিটি ঘটনাই মনে হয় রীতিমত দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে লেখা। এ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র জিনা। পতিতাপল্লীর মেয়েদের শিক্ষকতা করাবার কাজ-টা যার জীবনকেই পাল্টে দেয়। জিনা'র চোখ দিয়ে দেখে দেখে পাঠকও যেন একসময় হঠাৎ আবিষ্কার করে বসে মানব জীবন কি ভীষণ কদর্যময়! দাতব্য সংস্থানগুলো পতিতাদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চায় কিন্তু একই সাথে তারা সেই শিক্ষার দৌড় সীমাবদ্ধও করে দিতে চায় একটি নির্দিষ্ট গণ্ডী পর্যন্ত। এর বেশী পড়ালে তারা আর এ ব্যবসায় থাকতে চাইবেনা। আবার, পতিতাদের সংখ্যা কমে গেলে দাতব্য সংস্থাও টাকা দেবে কেন? এ এক অদ্ভুত প্যারাডক্স! (দান-খয়রাতও একটি লাভজনক ব্যবসাই বটে। খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান এর মত মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে মানুষকে কত সৃষ্টিশীলই না হতে হয়!) পতিতা সমাজে মাসী যারা আছে তারাও চায় না তাদের এ অবস্থা রাতারাতি পাল্টে যাক। বড় ব্যবসায়ীদের হাতে তাদেরও তো টিকি বাঁধা। কোথায় শেষ এই দুষ্ট চক্রের? নিজ ইচ্ছেয় কেউ এসে এ পেশায় জড়ায়নি। বাবা, প্রেমিক, স্বামী এরাই বিক্রি করে দিয়ে গেছে তাদের কন্যা, প্রেমিকা অথবা স্ত্রীদের, চিরশত্রু উদরের আগুন নেভাতে। পতিতাপল্লীর অন্ধকার গলি থেকে যে মেয়েটি পালিয়ে আসতে চায়, ধরা পড়বার পর শাস্তি স্বরূপ তাকে ধর্ষিত হতে হয় সারা রাত, একাধিক পোষা মাস্তানের হাতে। বাধ্যগত হলে 'সোহাগ', আর বেয়াড়া-বিদ্রোহী হলে ধর্ষণ; পুরস্কারের স্বীকৃতি কী তিরস্কারের লাঠি, উভয়েরই মূল্যের প্রকার কী ক্লান্তিকর রকম এক! ১৩৪টি পৃষ্ঠাই মাত্র, এতেই মানুষের যৌনক্ষুধার বিবরণে বড্ড বেশী বিষণ্ণ ও নিশ্চল হয়ে গেছি। মানবজাতির আরেকজন প্রতিনিধি হিসেবেই লজ্জিত ছিলাম ‘জাতভাইদের’ আচরণে। পরিধিটা আরো ছোট হয়ে শুধু পুরুষ জাতিতে এসে ঠেকল কী না কে জানে।
… (mere)